ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া উপজেলার প্রত্যেক গ্রামের মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত: চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর আনারস মার্কার সমর্থনে গণজোয়ার শুরু

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক শ্রমিকনেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী তথা আনারস মার্কার সমর্থনে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিটি জনপদে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরী হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কলাগাছ প্রেমি সর্বস্তরের জনসাধারণ এখন আনারস প্রতীককে ভোট দিয়ে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন। অপরদিকে গতকাল শুক্রবার (পহেলা মার্চ) ফজলুল করিম সাঈদী তথা আনারস মার্কার জন্য চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার প্রত্যেক গ্রামের মসজিদে মসজিদে বাদে জুমা বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। ওইসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ দখলবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত একটি আধুনিক চকরিয়া নির্মাণ করতে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী গরীব দু:খী মানুষের আপনজন আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদীকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য চকরিয়া উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সকলস্তরের জনগনের প্রতি আহবান জানান। এদিন চকরিয়া শহরের সোসাইটি বায়তুর রহমত জামে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সঙ্গে মোনাজাতে অংশনেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী। ওইসময় তিনি উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীসহ মসজিদে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

মসজিদে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, চকরিয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ বরাবরেই শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে। পৃথিবীতে জনতার আদালত হলো শ্রেষ্ঠ বিচারালয়। কেউ জনতার আদালতে ন্যায় বিচার পেলে পৃথিবীর কোন শক্তি নেই, তাকে জনগনের কাছ থেকে আলাদা করতে পারে। আমি সেই ধরণের জনতার আদালতের বিচার ইতোমধ্যে অর্জন করেছি। চকরিয়া উপজেলার কলাগাছ প্রেমি সংগ্রামী জনগন আমাকে যে ভালোবাসা, দোয়া সমর্থন দিয়েছেন তাতে আমি বেশি পেয়েছি। চকরিয়াবাসির এই ভালোবাসা আমাকে তাদের অটেল টাকার লোভে ফেলতে পারেনি। আমি জনতার ভালোবাসা ও সমর্থনকে সম্মান জানিয়ে টাকার সেই অফার প্রত্যাখান করেছি। মনে রাখতে হবে, জনগনের ভালোবাসা অর্জন করতে হলে সত্যিকার অর্থৈ জনগনের জন্য কাজ করতে হবে। তবে হুংকার দিয়ে কোনদিন জনগনের মনের ভাষা কেড়ে নেওয়া সম্ভব হবেনা।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমি তাদের এসব অফার প্রত্যাখন করে সংগ্রামী চকরিয়াবাসি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়াকে মাথায় তুলে নিলাম। আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই, আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সমর্থন-সহযোগিতা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা পাগল হয়ে গেছে। তাই প্রিয় চকরিয়াবাসিকে বলবো, আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন। দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে আপনার/আপনাদের মূল্যবান ভোটটি প্রদান করুন। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে বিজয়ী হলে আপনারা দলমত নির্বিশেষে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ হবেন শাসক, আমি হবো শুধুই আপনাদের সেবক। এভাবে আমি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।

মসজিদ থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি ফের নির্বাচনী গনসংযোগে বের হন। এরপর চকরিয়া মহিলা কলেজ মিলনায়তনে হাজী মনজুর আলম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গোল্ডেন ড্রিমস মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা নাথপাড়া এলাকায় সর্বস্তরের হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি চকরিয়ায় অস্ত্রধারীদের গুলিবর্ষণে আক্রান্ত সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথের বাড়ি দেখতে যান। এরপর এদিন সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার উপকুলীয় জনপদ পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে আনারস মার্কার সমর্থনে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তৃনমুলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদী।

গনসংযোগ পরবর্তী পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আহমদ সিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.শাহনেওয়াজ, সাবেক ছাত্রনেতা সজিব মোস্তাফা, চকরিয়া পৌরসভা দুইনম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল বসরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ শাহাব উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।##

পাঠকের মতামত: